ঢাকা ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
শিরোনাম ::
শান্তি শৃঙ্খলা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মসজিদে মসজিদে কচাকাটা থানা ওসি কুড়িগ্রামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি দুর্জয় গ্রেফতার রৌমারীতে ৪০ হাজার মানুষের প্রাণের দাবি একটি মাত্র সেতু রৌমারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক জনের মৃত্যু কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে মাইটিভির ১৬ বছরে পদার্পণ অনুষ্ঠান ফুলবাড়ীতে ৯৪ বোতল ইস্কাফ সহ ১ মাদক কারবারি আটক  কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন কুড়িগ্রামে একুশে টেলিভিশনের রজত জয়ন্তী পালন ফুলবাড়ীতে কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছের নিচে চাঁপা পড়ে এক নারীর মৃত্যু    কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সেনা অভিযানে চুরি ওষুধসহ আটক-২  

‘ তোমরা আমাদের ক্ষমা করে দিও’

  • শাহনাজ খুশী
  • আপডেট সময় : ০৭:২৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 93

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় ট্রেনের ভেতরে আটকা পড়ে পুড়ে মারা গেছেন নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াছিন। এ ঘটনায় আরও দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, নেত্রকোনা সদরের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন একই পরিবারের সদস্য ও স্বজনসহ ৯ জন। সোমবার রাতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ওঠেন তারা। বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান তাদের পাঁচজন। এরপর ট্রেন চলতে শুরু করলে হঠাৎ ধোঁয়ায় ভরে যায় কামরা। 

‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। তেজগাঁও স্টেশনে ট্রেন থামতে সবাই হুড়োহুড়ি করে নেমে যান। শুধু চার হতভাগ্য নামতে পারেননি। তাদের মধ্যে ছিলেন নাদিরা আক্তার পপি ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াছিন। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় তাদের। 

মা-ছেলের মর্মান্তিক এ মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না নেটিজেনরা। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পপি ও তার ছেলের ছবি শেয়ার করে শোক প্রকাশ করছেন। অনেকেই এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছেন। 

বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড পেজে লেখা ওই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘সোশ্যাল মিডিয়া থেকে চারপাশ, সব জায়গা খুব বেশি অচেনা লাগে এখন! টিকটক/ফ্যাশান শো/বিউটিকাম দিয়ে ছবি প্রর্দশন/রেস্টুরেন্টে পার্টি আর ফুড শো’অফের ভিড়ে নিজেকে বড় বেমানান লাগে আজকাল।

তির্যক হাস্যকর আক্রমণের তীর ছোড়াছুড়ি দেখে এখন দূরে থাকি সব কিছু থেকে। কিন্তু চাইলেই কি সব কিছু থেকে দূরে থাকা যায়! বাচ্চাটার চোখ দুইটা, আর মায়ের মুখের প্রশান্তি হাসি, বাবার মর্গের সামনের নির্বাক আহাজারি দিনটাকে বিষাদ করে দিল! খাবার স্বাদহীনতায় ভরে দিল। 

কিসের বলি তারা? এ পরিবার কোনো বিরোধী দলের নেতার নয়, কোনো এমপি মন্ত্রীর না, কোনো মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারীরও না! তাদের আমি চিনি না, জানি না কিন্তু প্রতি মুহূর্তে অপরাধী হয়ে যাই এমন চোখের স্থির দৃষ্টিতে! ক্ষমা করে দিও তোমরা আমাদের।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তি শৃঙ্খলা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মসজিদে মসজিদে কচাকাটা থানা ওসি

‘ তোমরা আমাদের ক্ষমা করে দিও’

আপডেট সময় : ০৭:২৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় ট্রেনের ভেতরে আটকা পড়ে পুড়ে মারা গেছেন নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াছিন। এ ঘটনায় আরও দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, নেত্রকোনা সদরের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন একই পরিবারের সদস্য ও স্বজনসহ ৯ জন। সোমবার রাতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ওঠেন তারা। বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান তাদের পাঁচজন। এরপর ট্রেন চলতে শুরু করলে হঠাৎ ধোঁয়ায় ভরে যায় কামরা। 

‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। তেজগাঁও স্টেশনে ট্রেন থামতে সবাই হুড়োহুড়ি করে নেমে যান। শুধু চার হতভাগ্য নামতে পারেননি। তাদের মধ্যে ছিলেন নাদিরা আক্তার পপি ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াছিন। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় তাদের। 

মা-ছেলের মর্মান্তিক এ মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না নেটিজেনরা। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পপি ও তার ছেলের ছবি শেয়ার করে শোক প্রকাশ করছেন। অনেকেই এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছেন। 

বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড পেজে লেখা ওই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘সোশ্যাল মিডিয়া থেকে চারপাশ, সব জায়গা খুব বেশি অচেনা লাগে এখন! টিকটক/ফ্যাশান শো/বিউটিকাম দিয়ে ছবি প্রর্দশন/রেস্টুরেন্টে পার্টি আর ফুড শো’অফের ভিড়ে নিজেকে বড় বেমানান লাগে আজকাল।

তির্যক হাস্যকর আক্রমণের তীর ছোড়াছুড়ি দেখে এখন দূরে থাকি সব কিছু থেকে। কিন্তু চাইলেই কি সব কিছু থেকে দূরে থাকা যায়! বাচ্চাটার চোখ দুইটা, আর মায়ের মুখের প্রশান্তি হাসি, বাবার মর্গের সামনের নির্বাক আহাজারি দিনটাকে বিষাদ করে দিল! খাবার স্বাদহীনতায় ভরে দিল। 

কিসের বলি তারা? এ পরিবার কোনো বিরোধী দলের নেতার নয়, কোনো এমপি মন্ত্রীর না, কোনো মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারীরও না! তাদের আমি চিনি না, জানি না কিন্তু প্রতি মুহূর্তে অপরাধী হয়ে যাই এমন চোখের স্থির দৃষ্টিতে! ক্ষমা করে দিও তোমরা আমাদের।’