ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
শিরোনাম ::
শান্তি শৃঙ্খলা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মসজিদে মসজিদে কচাকাটা থানা ওসি কুড়িগ্রামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি দুর্জয় গ্রেফতার রৌমারীতে ৪০ হাজার মানুষের প্রাণের দাবি একটি মাত্র সেতু রৌমারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক জনের মৃত্যু কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে মাইটিভির ১৬ বছরে পদার্পণ অনুষ্ঠান ফুলবাড়ীতে ৯৪ বোতল ইস্কাফ সহ ১ মাদক কারবারি আটক  কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন কুড়িগ্রামে একুশে টেলিভিশনের রজত জয়ন্তী পালন ফুলবাড়ীতে কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছের নিচে চাঁপা পড়ে এক নারীর মৃত্যু    কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সেনা অভিযানে চুরি ওষুধসহ আটক-২  

পা দিয়ে লিখে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছেন ফুলবাড়ীর মানিক রহমান 

 

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রামঃ

পা দিয়ে লিখে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ -৫ পেয়ে সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে মানিক রহমান তার জন্ম থেকেই দুটি হাত নেই,পা দুটি থাকলেও একটি লম্বা অন্যটি খাটো।এর আগে ২০২২ সালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি জছিমিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েও জিপিএ -৫ পেয়েছিল। অদম্য ইচ্ছা শক্তি তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি এবছর নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল মানিক। তার সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বাবা,মা, শিক্ষক শিক্ষিকা সহ-সবাই মুগ্ধ।

এই অদম্য মেধাবী মানিক রহমান কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্র খানা গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান ও সহকারী অধ্যাপক মোছাঃ মরিয়ম বেগমের বড় ছেলে। শুধু মাত্র এসএসসি-এইচএসসিতে নয় মা-বাবা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় নিজের আত্মবিশ্বাস ও মনোবল কে কাজে লাগিয়ে পিএসসি পরীক্ষায় পেয়েছিলেন গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, এবং জেএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ -৫ পেয়ে সবার মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন মানিক রহমান। এছাড়া পা দিয়ে মোবাইল চালানো এবং কম্পিউটার টাইপিংয়ে যথেষ্ট পারদর্শী সে, প্রোকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হয়ে ভবিষ্যতে একজন দক্ষ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় মানিক।

মানিকের বাবা মোঃ মিজানুর রহমান ও মা, মোছাঃ মরিয়ম বেগম জানান, আমাদের দুই ছেলের মধ্যে মানিক বড়, ছোট ছেলে মাহিম নবম শ্রেণীতে পড়ে। মানিক জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী তার দুটি হাত নেই একটি পা অন্যটির চেয়ে খাটো।সে প্রতিবন্ধী হলেও জন্মের পর থেকে আমরা তাকে প্রতিবন্ধী মনে করি না,হাত না থাকায় ছোট বেলা থেকেই আমরা তাকে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস করিয়েছি।পা দিয়ে লিখেও তার লেখা অনেক সুন্দর এবং পড়াশোনায় সে খুবই মনোযোগী সবাই দোয়া করবেন কম্পিউটার ইন্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন যেন তার পুরণ হয়।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তি শৃঙ্খলা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মসজিদে মসজিদে কচাকাটা থানা ওসি

পা দিয়ে লিখে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছেন ফুলবাড়ীর মানিক রহমান 

আপডেট সময় : ০৭:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

 

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রামঃ

পা দিয়ে লিখে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ -৫ পেয়ে সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে মানিক রহমান তার জন্ম থেকেই দুটি হাত নেই,পা দুটি থাকলেও একটি লম্বা অন্যটি খাটো।এর আগে ২০২২ সালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি জছিমিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েও জিপিএ -৫ পেয়েছিল। অদম্য ইচ্ছা শক্তি তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি এবছর নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল মানিক। তার সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বাবা,মা, শিক্ষক শিক্ষিকা সহ-সবাই মুগ্ধ।

এই অদম্য মেধাবী মানিক রহমান কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্র খানা গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান ও সহকারী অধ্যাপক মোছাঃ মরিয়ম বেগমের বড় ছেলে। শুধু মাত্র এসএসসি-এইচএসসিতে নয় মা-বাবা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় নিজের আত্মবিশ্বাস ও মনোবল কে কাজে লাগিয়ে পিএসসি পরীক্ষায় পেয়েছিলেন গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, এবং জেএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ -৫ পেয়ে সবার মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন মানিক রহমান। এছাড়া পা দিয়ে মোবাইল চালানো এবং কম্পিউটার টাইপিংয়ে যথেষ্ট পারদর্শী সে, প্রোকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হয়ে ভবিষ্যতে একজন দক্ষ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় মানিক।

মানিকের বাবা মোঃ মিজানুর রহমান ও মা, মোছাঃ মরিয়ম বেগম জানান, আমাদের দুই ছেলের মধ্যে মানিক বড়, ছোট ছেলে মাহিম নবম শ্রেণীতে পড়ে। মানিক জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী তার দুটি হাত নেই একটি পা অন্যটির চেয়ে খাটো।সে প্রতিবন্ধী হলেও জন্মের পর থেকে আমরা তাকে প্রতিবন্ধী মনে করি না,হাত না থাকায় ছোট বেলা থেকেই আমরা তাকে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস করিয়েছি।পা দিয়ে লিখেও তার লেখা অনেক সুন্দর এবং পড়াশোনায় সে খুবই মনোযোগী সবাই দোয়া করবেন কম্পিউটার ইন্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন যেন তার পুরণ হয়।