ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
শিরোনাম ::
শান্তি শৃঙ্খলা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মসজিদে মসজিদে কচাকাটা থানা ওসি কুড়িগ্রামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি দুর্জয় গ্রেফতার রৌমারীতে ৪০ হাজার মানুষের প্রাণের দাবি একটি মাত্র সেতু রৌমারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক জনের মৃত্যু কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে মাইটিভির ১৬ বছরে পদার্পণ অনুষ্ঠান ফুলবাড়ীতে ৯৪ বোতল ইস্কাফ সহ ১ মাদক কারবারি আটক  কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন কুড়িগ্রামে একুশে টেলিভিশনের রজত জয়ন্তী পালন ফুলবাড়ীতে কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছের নিচে চাঁপা পড়ে এক নারীর মৃত্যু    কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সেনা অভিযানে চুরি ওষুধসহ আটক-২  

রৌমারীতে নদী ভাঙ্গনরোধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

 

রৌমারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় নদীভাঙ্গন প্রতিরোধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসী ও স্কুল শিক্ষার্থীরা । বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকা সংলগ্ন নদীর কিনারে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে প্রায় ৫ সহস্রাধিক জনসাধারণ অংশ গ্রহণ করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কেএম হফজলুল হক মন্ডল, সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভার:) প্রধান শিক্ষক মোমিনুল ইসলাম, চর শৌলমারী ইউনিয়ন শাখার বিএনপির সভাপতি এমএ ছাত্তার,  নাজমা খাতুন, রাহেলা বেওয়া, মহিনুর বেগম, বিশিষ্ট সমাজসেবক মান্নান চিশতী, আব্দুল খালেক, ইউনুস আলী, হাফিজুর রহমান ও ফয়েজ উদ্দিন প্রমূখ।
নাজমা খাতুন বলেন, আমার বাড়িভিটা নদীতে ভেঙ্গে গেছে। আমি এখন খোলা আকাশের নিচে কষ্টে বসবাস করছি। আর যাতে অন্য কোন পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য সরকারের কাছে দাবী করি। আমরা রিলিফ চাইনা নদী ভাঙ্গন বন্ধ চাই।
কেএম ফজলুল হক মন্ডল বলেন, নদী ভাঙ্গন একটা বড় সমস্যা। ভাঙ্গনরোধে আমরা অনেকবার স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এদিকে নদী ভাঙ্গছে তাতে কয়েকদিনের মধ্যেই এই এলাকাটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। তাই বর্তমান অন্তবর্তীকালিন সরকারের কাছে নদীভাঙ্গনরোধে দ্রুত কার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী করছি।
চর শৌলমারী ইউনিয়ন শাখার বিএনপির সভাপতি এমএ ছাত্তার বলেন, দ্রুত নদী ভাঙ্গনরোধ না করলে প্রাইমারী স্কুল, হাই স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও বাজার নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। এক সময় রৌমারীর মানচিত্র হারিয়ে যাবে।
গত কয়েকদিন থেকে বন্যার পানি শুকিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তীব্র স্রোতে ব্রহ্মপুত্র নদের সোনাপুর চর সোনাপুর, গুচ্ছগ্রাম, চর গেন্দার আলগা, ঘুঘুমারী, সুখেরবাতি, দক্সিণ নামজের চর, খেওয়ারচর ও হবিগঞ্জ ও খেদাইমারী এলাকায় ভাঙ্গনে ভয়াবহ রুপ ধারন করছে। এতে দিনেরাতে তীব্র স্রোতের কারনে গত কয়েকদিনে ৫০ টি বশতবাড়ি ও কয়েকশ একর কৃষি জমি নদের গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নিঃস্ব হয়েছে প্রায় ২০০টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো বর্তমানে কোন স্থান না পেয়ে নদের কিনারের পাশেই পাটের শোলা ও টিনশেড দিয়ে ছাপড়া ঘর উঠিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নদের ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলোর পাশে দাড়ায়নি সরকারি বা বেসরকারিসহ কোন জনপ্রতিনিধিগণ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তি শৃঙ্খলা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মসজিদে মসজিদে কচাকাটা থানা ওসি

রৌমারীতে নদী ভাঙ্গনরোধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৯:১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

 

রৌমারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় নদীভাঙ্গন প্রতিরোধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসী ও স্কুল শিক্ষার্থীরা । বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকা সংলগ্ন নদীর কিনারে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে প্রায় ৫ সহস্রাধিক জনসাধারণ অংশ গ্রহণ করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কেএম হফজলুল হক মন্ডল, সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভার:) প্রধান শিক্ষক মোমিনুল ইসলাম, চর শৌলমারী ইউনিয়ন শাখার বিএনপির সভাপতি এমএ ছাত্তার,  নাজমা খাতুন, রাহেলা বেওয়া, মহিনুর বেগম, বিশিষ্ট সমাজসেবক মান্নান চিশতী, আব্দুল খালেক, ইউনুস আলী, হাফিজুর রহমান ও ফয়েজ উদ্দিন প্রমূখ।
নাজমা খাতুন বলেন, আমার বাড়িভিটা নদীতে ভেঙ্গে গেছে। আমি এখন খোলা আকাশের নিচে কষ্টে বসবাস করছি। আর যাতে অন্য কোন পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য সরকারের কাছে দাবী করি। আমরা রিলিফ চাইনা নদী ভাঙ্গন বন্ধ চাই।
কেএম ফজলুল হক মন্ডল বলেন, নদী ভাঙ্গন একটা বড় সমস্যা। ভাঙ্গনরোধে আমরা অনেকবার স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এদিকে নদী ভাঙ্গছে তাতে কয়েকদিনের মধ্যেই এই এলাকাটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। তাই বর্তমান অন্তবর্তীকালিন সরকারের কাছে নদীভাঙ্গনরোধে দ্রুত কার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী করছি।
চর শৌলমারী ইউনিয়ন শাখার বিএনপির সভাপতি এমএ ছাত্তার বলেন, দ্রুত নদী ভাঙ্গনরোধ না করলে প্রাইমারী স্কুল, হাই স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও বাজার নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। এক সময় রৌমারীর মানচিত্র হারিয়ে যাবে।
গত কয়েকদিন থেকে বন্যার পানি শুকিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তীব্র স্রোতে ব্রহ্মপুত্র নদের সোনাপুর চর সোনাপুর, গুচ্ছগ্রাম, চর গেন্দার আলগা, ঘুঘুমারী, সুখেরবাতি, দক্সিণ নামজের চর, খেওয়ারচর ও হবিগঞ্জ ও খেদাইমারী এলাকায় ভাঙ্গনে ভয়াবহ রুপ ধারন করছে। এতে দিনেরাতে তীব্র স্রোতের কারনে গত কয়েকদিনে ৫০ টি বশতবাড়ি ও কয়েকশ একর কৃষি জমি নদের গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নিঃস্ব হয়েছে প্রায় ২০০টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো বর্তমানে কোন স্থান না পেয়ে নদের কিনারের পাশেই পাটের শোলা ও টিনশেড দিয়ে ছাপড়া ঘর উঠিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নদের ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলোর পাশে দাড়ায়নি সরকারি বা বেসরকারিসহ কোন জনপ্রতিনিধিগণ।