ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
শিরোনাম ::
শান্তি শৃঙ্খলা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মসজিদে মসজিদে কচাকাটা থানা ওসি কুড়িগ্রামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি দুর্জয় গ্রেফতার রৌমারীতে ৪০ হাজার মানুষের প্রাণের দাবি একটি মাত্র সেতু রৌমারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক জনের মৃত্যু কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে মাইটিভির ১৬ বছরে পদার্পণ অনুষ্ঠান ফুলবাড়ীতে ৯৪ বোতল ইস্কাফ সহ ১ মাদক কারবারি আটক  কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন কুড়িগ্রামে একুশে টেলিভিশনের রজত জয়ন্তী পালন ফুলবাড়ীতে কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছের নিচে চাঁপা পড়ে এক নারীর মৃত্যু    কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সেনা অভিযানে চুরি ওষুধসহ আটক-২  

ফুলবাড়িতে,গবাদি পশুর ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে 

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে গবাদি পশুর ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে।প্রায় কৃষকের বাড়িতে দুই একটি গরুর মধ্যে এ রোগ আক্রান্ত সহ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ক্রমান্বয়ে এ রোগটি ছড়িয়ে পরার আতংকে রয়েছেন উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রান্তিক গবাদি পশুর মালিকরা সহ খামারিরা। তবে খামারিরা আগে থেকেই প্রতিশোধক নেওয়ায় খামারের গরুর আক্রান্তের সংখ্যা কম। কিন্তূ দেশি গরু ও বাচুরের মধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব খুব বেশি।
জানাগেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বজরের খামার গ্রামে ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগ দেখা দিয়েছে। গরুর অসুস্থতায় বোঝা যায় প্রথমে জ্বর পরে কাপুনির সৃষ্টি হয় পরক্ষণেই মুখ দিয়ে লালা আসে। এ রোগের জন্য গবাদি পশু মালিকরা গ্রাম্য পশু চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা চালালেও শেষ রক্ষা পায়নি তাঁরা। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেকেই দিশাহারা হয়ে পরেছেন।ক্ষতিগ্রস্ত মালিকের মধ্যে বজরের খামার চন্দ্র খানা গ্রামের মোছাঃ নাজমা বেগমের ১টি বিদেশি ও ১টি দেশি গাভী,একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ১টি ষাড় মারা গেছে। কুমার পাড়া গ্রামের রতন কাজির ১টি, আশরাফুলের ১টি গাভী,পাশের গ্রামের বাবুলর ১টি,ও আব্দুস সামাদের ১টি ষাড় ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
এদিকে পানি মাছ কুটি এলাকার ফরহাদ হোসেন টুকু জানান, অনেক চিকিৎসা দেওয়ার পর ও আমার প্রায় দুই লক্ষ টাকা দামের একটি ষাঁড় বাঁচানো সম্ভব হয়নি, সাথে থাকা বাকি গরু গুলোর অবস্থা ভালো নেই। ভাঙ্গা মোড় ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি এলাকার গরুর খামারি মোঃ জাহিদুল হাসান জানান,যে ভাবে এই রোগ বিস্তার করছে আমি গরু নিয়া খুব দুশ্চিন্তায় আছি আল্লাহ ভরসা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান কনক জানান,আমরা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছি বজরের খামার এলাকায় খুড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪/৫টি গেছে। মুলত ওই গ্রামের একজন কৃষক কোন এক বাজার থেকে একটি গরু কিনে নিয়ে আসায় এই রোগটি দেখা দেয়।যার কারণে ভাইরাস জনিত খুরা রোগটি ছড়িয়ে যায়। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, রোগাক্রান্ত গরুকে অন্য গরু থেকে আলাদা রাখতে হবে।রোগ দেখা দিলে অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য গরুর মালিকদেরকে পরামর্শ দেন।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তি শৃঙ্খলা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মসজিদে মসজিদে কচাকাটা থানা ওসি

ফুলবাড়িতে,গবাদি পশুর ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে 

আপডেট সময় : ০৬:০১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে গবাদি পশুর ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে।প্রায় কৃষকের বাড়িতে দুই একটি গরুর মধ্যে এ রোগ আক্রান্ত সহ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ক্রমান্বয়ে এ রোগটি ছড়িয়ে পরার আতংকে রয়েছেন উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রান্তিক গবাদি পশুর মালিকরা সহ খামারিরা। তবে খামারিরা আগে থেকেই প্রতিশোধক নেওয়ায় খামারের গরুর আক্রান্তের সংখ্যা কম। কিন্তূ দেশি গরু ও বাচুরের মধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব খুব বেশি।
জানাগেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বজরের খামার গ্রামে ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগ দেখা দিয়েছে। গরুর অসুস্থতায় বোঝা যায় প্রথমে জ্বর পরে কাপুনির সৃষ্টি হয় পরক্ষণেই মুখ দিয়ে লালা আসে। এ রোগের জন্য গবাদি পশু মালিকরা গ্রাম্য পশু চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা চালালেও শেষ রক্ষা পায়নি তাঁরা। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেকেই দিশাহারা হয়ে পরেছেন।ক্ষতিগ্রস্ত মালিকের মধ্যে বজরের খামার চন্দ্র খানা গ্রামের মোছাঃ নাজমা বেগমের ১টি বিদেশি ও ১টি দেশি গাভী,একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ১টি ষাড় মারা গেছে। কুমার পাড়া গ্রামের রতন কাজির ১টি, আশরাফুলের ১টি গাভী,পাশের গ্রামের বাবুলর ১টি,ও আব্দুস সামাদের ১টি ষাড় ল্যাম্পিস্কিন ও খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
এদিকে পানি মাছ কুটি এলাকার ফরহাদ হোসেন টুকু জানান, অনেক চিকিৎসা দেওয়ার পর ও আমার প্রায় দুই লক্ষ টাকা দামের একটি ষাঁড় বাঁচানো সম্ভব হয়নি, সাথে থাকা বাকি গরু গুলোর অবস্থা ভালো নেই। ভাঙ্গা মোড় ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি এলাকার গরুর খামারি মোঃ জাহিদুল হাসান জানান,যে ভাবে এই রোগ বিস্তার করছে আমি গরু নিয়া খুব দুশ্চিন্তায় আছি আল্লাহ ভরসা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান কনক জানান,আমরা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছি বজরের খামার এলাকায় খুড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪/৫টি গেছে। মুলত ওই গ্রামের একজন কৃষক কোন এক বাজার থেকে একটি গরু কিনে নিয়ে আসায় এই রোগটি দেখা দেয়।যার কারণে ভাইরাস জনিত খুরা রোগটি ছড়িয়ে যায়। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, রোগাক্রান্ত গরুকে অন্য গরু থেকে আলাদা রাখতে হবে।রোগ দেখা দিলে অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য গরুর মালিকদেরকে পরামর্শ দেন।