ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
শিরোনাম ::
শান্তি শৃঙ্খলা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মসজিদে মসজিদে কচাকাটা থানা ওসি কুড়িগ্রামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি দুর্জয় গ্রেফতার রৌমারীতে ৪০ হাজার মানুষের প্রাণের দাবি একটি মাত্র সেতু রৌমারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক জনের মৃত্যু কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে মাইটিভির ১৬ বছরে পদার্পণ অনুষ্ঠান ফুলবাড়ীতে ৯৪ বোতল ইস্কাফ সহ ১ মাদক কারবারি আটক  কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন কুড়িগ্রামে একুশে টেলিভিশনের রজত জয়ন্তী পালন ফুলবাড়ীতে কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছের নিচে চাঁপা পড়ে এক নারীর মৃত্যু    কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সেনা অভিযানে চুরি ওষুধসহ আটক-২  

রৌমারীতে প্রধান  শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. খুরশীদা খাতুন এর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্কুলে অনুপস্থিতি, শিক্ষকদের সাথে সেচ্ছাচারিতা, অসদাচরণ ও অর্থ আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ তুলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে সরেজমিনে রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের চর বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন নাগরিক প্রধান শিক্ষকের অপসারনের দাবী জানান।
এসময় শিক্ষার্থী অভিভাবক মো. বিলাল হোসেন, মো. বুদ্দি মিয়া, মো.আলম মিয়া, সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন, নজরুল ইসলাম সহ আরো অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, চর বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে তিনি সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম করে যাচ্ছেন। এসবের অভিযোগ দিলেও নাম মাত্র তদন্ত করেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হৃদয় কৃঞ্চ বর্মণ। কোন ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক খুরশীদা খাতুন এক মাসে বিদ্যালয়ে ২ থেকে ৩ দিন উপস্থিত থাকলেও বাকি দিন অনুপস্থিত থাকেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও সহকারি শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ, খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে প্রধান শিক্ষকের সন্তানের পায়খানা- প্রসাব পরিস্কার করান বলেও অভিযোগ তুলেন অভিবাবকরা।

অভিভাবক মো. বিলাল হোসেন বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কারনে স্কুলে ছাত্র সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে। কারণ সে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাচ্চার পায়খানা প্রসাব সহ স্কুলের আবর্জনা পরিস্কার করান। এ সময় কোমলমোতি শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে তাদের উপবৃত্তির নাম কর্তন সহ নানান ভয়ভীতি দেখান  এ নিয়ে বাচ্চারা স্কুলে আসতে চায় না। তাই এই প্রধান শিক্ষক কে স্কুল থেকে অপসরণ ও শাস্তির দাবি জানাই।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি এনামুল হক বলেন, প্রধান শিক্ষক খুরশীদা খাতুন সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক স্লিপের ৫০ হাজার, ক্ষুদ্র মেরামত ২ লাখ ও প্রাক ১০ হাজার টাকা, রুটিন ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও কাজ না করে তিনি আত্মসাত করেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের ল্যাপ্টব, আলমারী, সোলার, ব্যাটারি, টিউবওয়েল সহ নানা আসবাবপত্র তার বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এসব অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রধান শিক্ষকের অপসারণসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাই।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শিরিনা আকতার অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বাক্ষর ছাড়া (স্বক্ষর জাল করে) সরকারি বরাদ্দের স্লিপ, ক্ষুদ্র মেরামত, প্রাক ওরুটিন সহ অন্যান্য বরাদ্দের ৩ লক্ষ টাকার কোন হিসাব না দিয়ে প্রধান শিক্ষক আত্মসাত করেন। এসব ঘটনা নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়। পরে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করতে যান উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা হৃদয় বর্মণ। তদন্তের দিনেও প্রাধান শিক্ষক খুরশীদা খাতুন অনুপস্থিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে ও শিক্ষার মানউন্ননে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

চর বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশীদা খাতুন এসব অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, স্কুলের ব্যবহৃত আলমারী ওয়া্র্ড্রপ সহ অন্যাান্য জিনিসপত্র সহকারী শিক্ষক নজরুল মাস্টারের বাড়িতে রয়েছে। আমার কাছে শুধু ল্যবটপটা আছে। অফিসের কাজে বেশি সময়ে বাহিরে যেতে হয় তাই স্কুলে উপস্থিত থাকতে পারিনা।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ বলেন, বিষয়টি খোজ খবর নিচ্ছি সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তি শৃঙ্খলা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মসজিদে মসজিদে কচাকাটা থানা ওসি

রৌমারীতে প্রধান  শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:১৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চর বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. খুরশীদা খাতুন এর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্কুলে অনুপস্থিতি, শিক্ষকদের সাথে সেচ্ছাচারিতা, অসদাচরণ ও অর্থ আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ তুলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে সরেজমিনে রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের চর বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন নাগরিক প্রধান শিক্ষকের অপসারনের দাবী জানান।
এসময় শিক্ষার্থী অভিভাবক মো. বিলাল হোসেন, মো. বুদ্দি মিয়া, মো.আলম মিয়া, সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন, নজরুল ইসলাম সহ আরো অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, চর বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে তিনি সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম করে যাচ্ছেন। এসবের অভিযোগ দিলেও নাম মাত্র তদন্ত করেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হৃদয় কৃঞ্চ বর্মণ। কোন ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক খুরশীদা খাতুন এক মাসে বিদ্যালয়ে ২ থেকে ৩ দিন উপস্থিত থাকলেও বাকি দিন অনুপস্থিত থাকেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও সহকারি শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ, খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে প্রধান শিক্ষকের সন্তানের পায়খানা- প্রসাব পরিস্কার করান বলেও অভিযোগ তুলেন অভিবাবকরা।

অভিভাবক মো. বিলাল হোসেন বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কারনে স্কুলে ছাত্র সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে। কারণ সে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাচ্চার পায়খানা প্রসাব সহ স্কুলের আবর্জনা পরিস্কার করান। এ সময় কোমলমোতি শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে তাদের উপবৃত্তির নাম কর্তন সহ নানান ভয়ভীতি দেখান  এ নিয়ে বাচ্চারা স্কুলে আসতে চায় না। তাই এই প্রধান শিক্ষক কে স্কুল থেকে অপসরণ ও শাস্তির দাবি জানাই।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি এনামুল হক বলেন, প্রধান শিক্ষক খুরশীদা খাতুন সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক স্লিপের ৫০ হাজার, ক্ষুদ্র মেরামত ২ লাখ ও প্রাক ১০ হাজার টাকা, রুটিন ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও কাজ না করে তিনি আত্মসাত করেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের ল্যাপ্টব, আলমারী, সোলার, ব্যাটারি, টিউবওয়েল সহ নানা আসবাবপত্র তার বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এসব অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রধান শিক্ষকের অপসারণসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাই।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শিরিনা আকতার অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বাক্ষর ছাড়া (স্বক্ষর জাল করে) সরকারি বরাদ্দের স্লিপ, ক্ষুদ্র মেরামত, প্রাক ওরুটিন সহ অন্যান্য বরাদ্দের ৩ লক্ষ টাকার কোন হিসাব না দিয়ে প্রধান শিক্ষক আত্মসাত করেন। এসব ঘটনা নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়। পরে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করতে যান উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা হৃদয় বর্মণ। তদন্তের দিনেও প্রাধান শিক্ষক খুরশীদা খাতুন অনুপস্থিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে ও শিক্ষার মানউন্ননে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

চর বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশীদা খাতুন এসব অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, স্কুলের ব্যবহৃত আলমারী ওয়া্র্ড্রপ সহ অন্যাান্য জিনিসপত্র সহকারী শিক্ষক নজরুল মাস্টারের বাড়িতে রয়েছে। আমার কাছে শুধু ল্যবটপটা আছে। অফিসের কাজে বেশি সময়ে বাহিরে যেতে হয় তাই স্কুলে উপস্থিত থাকতে পারিনা।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ বলেন, বিষয়টি খোজ খবর নিচ্ছি সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।