ঢাকা ০৮:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
শিরোনাম ::
শান্তি শৃঙ্খলা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মসজিদে মসজিদে কচাকাটা থানা ওসি কুড়িগ্রামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি দুর্জয় গ্রেফতার রৌমারীতে ৪০ হাজার মানুষের প্রাণের দাবি একটি মাত্র সেতু রৌমারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক জনের মৃত্যু কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে মাইটিভির ১৬ বছরে পদার্পণ অনুষ্ঠান ফুলবাড়ীতে ৯৪ বোতল ইস্কাফ সহ ১ মাদক কারবারি আটক  কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন কুড়িগ্রামে একুশে টেলিভিশনের রজত জয়ন্তী পালন ফুলবাড়ীতে কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছের নিচে চাঁপা পড়ে এক নারীর মৃত্যু    কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সেনা অভিযানে চুরি ওষুধসহ আটক-২  

নির্বাচনী জনসভায় নোংরা বক্তব্য,মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ

নির্বাচনী জনসভায় নোংরা বক্তব্য,মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চলতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী জনসভায় প্রার্থী ও সমর্থকদের নোংরা বক্তব্যের প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাগণ দুই দলে বিভক্ত হয়েছেন। তারা সাংবাদিকদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে ভোটারদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
গত ১ মে রাতে উপজেলার বাঞ্ছারচর বাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শহিদুল ইসলাম শালুর (কাপ পিরিচ) নির্বাচনী সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী (টেলিফোন) সম্পর্কে নোংরা বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও যাদুরচর গ্রামের এক জনসভায় শহিদুল ইসলাম শালুর ছোটভাই রাজু আহমেদ খোকা বঙ্গবাসীর সম্পর্কে আবারও নোংরা ও অশ্রাব্য বক্তব্য প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলার কর্তিমারী বাজারে এক নির্বাচনী পথসভায় বঙ্গবাসী ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার বিচার দাবি করেন। এসময় তিনি বলেন, নিবার্চনী সভায় উনি  (সোহরাব হোসেন) আমাকে খুনি,ডাকাত,মাদককারবারী,চোর বানানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি যদি এসব প্রমাণ করতে পারে তাহলে আপনারা যা শাস্তি দিবেন মাথা পেতে নিবো। আর না পারলে নির্বাচনের পর এই মাঠেই তার বিচার করা হোক।
পরে এই বিচার দাবির বিষয়টিকে ভিন্নভাবে প্রবাহিত করে একজন প্রার্থী বঙ্গবাসীকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশকে প্ররোচিত করেন বলে জানান তার (বঙ্গবাসী) সমর্থক সাখাওয়াত হোসেন সবুজ ।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধাদের অপর একটি অংশসহ কর্তিমারী বাজারের সকল ব্যবসায়ী এই মিথ্যা প্রচারনা ও মানববন্ধনের প্রতিবাদে রোববার অর্ধবেলা দোকান বন্ধ রেখে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এ বিষয় বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শামছুল আলম বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারনায় গিয়ে অন্য প্রার্থী সম্পর্কে কুরুচিকর বক্তব্য দেওয়া তার ঠিক হয়নি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন শহিদুল ইসলাম শালুর কাপ পিরিচ মার্কার প্রচারণার কাজ করছেন। মজিবুর রহমান বঙ্গবাসীর টেলিফোন মার্কার গণজোয়ার দেখে তিনি ঈর্ষানিত হয়ে যে কুরুচিকর বক্তব্য দিয়েছেন এটা তার ঠিক হয়নি। মূলত বঙ্গবাসীকে উত্তেজিত করার মানসে তিনি এই বক্তব্য দেন বলেও জানান তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তি শৃঙ্খলা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মসজিদে মসজিদে কচাকাটা থানা ওসি

নির্বাচনী জনসভায় নোংরা বক্তব্য,মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ

আপডেট সময় : ১০:৪৫:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

নির্বাচনী জনসভায় নোংরা বক্তব্য,মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চলতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী জনসভায় প্রার্থী ও সমর্থকদের নোংরা বক্তব্যের প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাগণ দুই দলে বিভক্ত হয়েছেন। তারা সাংবাদিকদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে ভোটারদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
গত ১ মে রাতে উপজেলার বাঞ্ছারচর বাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শহিদুল ইসলাম শালুর (কাপ পিরিচ) নির্বাচনী সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী (টেলিফোন) সম্পর্কে নোংরা বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও যাদুরচর গ্রামের এক জনসভায় শহিদুল ইসলাম শালুর ছোটভাই রাজু আহমেদ খোকা বঙ্গবাসীর সম্পর্কে আবারও নোংরা ও অশ্রাব্য বক্তব্য প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলার কর্তিমারী বাজারে এক নির্বাচনী পথসভায় বঙ্গবাসী ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার বিচার দাবি করেন। এসময় তিনি বলেন, নিবার্চনী সভায় উনি  (সোহরাব হোসেন) আমাকে খুনি,ডাকাত,মাদককারবারী,চোর বানানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি যদি এসব প্রমাণ করতে পারে তাহলে আপনারা যা শাস্তি দিবেন মাথা পেতে নিবো। আর না পারলে নির্বাচনের পর এই মাঠেই তার বিচার করা হোক।
পরে এই বিচার দাবির বিষয়টিকে ভিন্নভাবে প্রবাহিত করে একজন প্রার্থী বঙ্গবাসীকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশকে প্ররোচিত করেন বলে জানান তার (বঙ্গবাসী) সমর্থক সাখাওয়াত হোসেন সবুজ ।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধাদের অপর একটি অংশসহ কর্তিমারী বাজারের সকল ব্যবসায়ী এই মিথ্যা প্রচারনা ও মানববন্ধনের প্রতিবাদে রোববার অর্ধবেলা দোকান বন্ধ রেখে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এ বিষয় বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শামছুল আলম বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারনায় গিয়ে অন্য প্রার্থী সম্পর্কে কুরুচিকর বক্তব্য দেওয়া তার ঠিক হয়নি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন শহিদুল ইসলাম শালুর কাপ পিরিচ মার্কার প্রচারণার কাজ করছেন। মজিবুর রহমান বঙ্গবাসীর টেলিফোন মার্কার গণজোয়ার দেখে তিনি ঈর্ষানিত হয়ে যে কুরুচিকর বক্তব্য দিয়েছেন এটা তার ঠিক হয়নি। মূলত বঙ্গবাসীকে উত্তেজিত করার মানসে তিনি এই বক্তব্য দেন বলেও জানান তিনি।