
রৌমারীতে ৪০ হাজার মানুষের প্রাণের দাবি একটি মাত্র সেতু
স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ৬নং চরশৌলমারী ইউনিয়নের কাজাইকাটা তেলীর মোড় এলাকায় হলহলিয়া নদীর ওপর স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হলেও এখরো তৈরি হয়নি একটি মাত্র সেতু।
একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। বর্ষাকালে নৌকা, আর খরার সময় বাঁশের সাঁকোই পথচারী ও শিক্ষার্থীদের নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীর উদ্যোগে অস্থায়ী বাঁশের সাকো নির্মাণ করে চলাচল করলেও বর্ষায় সেটি ভেঙ্গে যায়। এর মধ্যে গত বর্ষায় নৌকাডুবির ঘটনায় একজনার মৃত্যু হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রৌমারী উপজেলার ৬ নং চরশৌলমারী,দাঁতভাঙ্গা,ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নের প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের রৌমারী উপজেলায় আসা যাওয়ার এক মাত্র রাস্তা হলহলিয়া নদীর এটি বাঁশের সাকো এই নদীর উপর দিয়ে শান্তির চর, খড়ানির চর, কাজাইকাটা, চর কাজাইকাটা, গাছ বাড়ি,আনন্দ বাজার, ফুলকার চর,সোনাপুর,গেন্দার আলগা, নামাজের চর, খেয়ারচর, ডিগ্রীরচর, বাংলা বাজার, চর ইটালুকান্দা, লাউবাড়ি, উত্তর নামাজের চর, জাহাজের আলগা, দই খাওয়ার চর, হবিগঞ্জ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের চলাচলে চরম দুভোর্গ দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের দাবি একটা মাত্র সেতুর।
বিভিন্ন সময় নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতারা একাধিকবার নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে দুর্ভোগ ঘোচেনি ঐএলাকার গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের। জমির ফসল বাজারে নিয়ে যাওয়া, স্কুল কলেজ শিক্ষার্থী,গাড়ি চলাচল, চাকরিজীবি, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষের গলার কাটা হয়ে আছে এই হলহলিয়া নদীটি । একটি সেতুর অভাবে এই গ্রামের গুলোর মানুষদের সারাবছর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে স্কুলের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নৌকা পার হওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। অত্র গ্রাম গুলোর মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতির উন্নয়নের ক্ষেত্রে এখানে সেতু নির্মাণ অত্যন্ত জরুরী বলে অনেকে দাবি করেন।
ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম বলেন, নদীতে ব্রীজ না থাকায় চরম ভোগান্তি আমাদের। শুধুমাত্র একটি সেতুর অভাবে আমরা প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছি।
ঐ এলাকার বদিউজ্জামাল, হারেজ আলী,শাহাআলম মিয়া বলেন, প্রতিদিন কোনো না কোনো কাজের জন্য আমাদের উপজেলা শহর রৌমারীতে যাওয়ার জন্য নদী পার হতে হয় এতে অনেক কষ্ট হয়। উৎপাদিত কৃষিপণ বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাবল খরচ বহন করতে হয়। আমাদের প্রাণের দাবি একটা সেতু নিমার্ণ করা হোক।
চর শৌলমারী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ মমিনুল ইসলাম মমিন বলেন কাজাইকাটা এই হলহলিয়া নদীতে একটি ব্রীজের জন্য আমরা অনেক দিন ধরে সাবেক এমপি,মন্ত্রীদের কাছে অনেক বার গিয়েছি তারা আমাদেরকে বলেছে খুব দূরত্ব একটি ব্রীজ হবে অনেক বছর গত হলেও তা আজও একটি ব্রীজ হয়নি এই নদীর উপড়ে, এই এলাকার হাজার, হাজার মানুষ প্রানের ঝুঁকি নিয়ে খুব কষ্টে চলাচল করছে আমাদের দাবি এই নদীর উপড়ে একটি ব্রীজ চাই।
এবিষয়ে চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান এস এম সাইদুর রহমান দুলাল জানান, উপজেলা মাসিক মিটিংএ অনেক বার বলেছি একটি সেতু নিমার্ণ করার জন্য। আমার এই অঞ্চলের মানুষের চলাফেরা করতে নানা ধরনের কষ্ট ভোগ করতে হয়।
বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি মো: মনছুরুল হকে জানালে তিনি বলেন, সরেজমিনে গিয়ে দেখে উদ্ধতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল কুমার হালদার বলেন, বিষয়টা আমার জানা আছে। স্থানীয় মানুষের দুভোর্গ লাঘবে আমরা কাজ করছি। আশা করছি অতি তাড়াতাড়ি জনস্বার্থে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।