
মনিরুজ্জামান মনির, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
মেয়েরা দেশের বোঝা নয় সুযোগ দিলে সম্পদ হয়। এই পতিপাদ্যে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের মেয়ে ফাতেমা নিজের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করে অন্যদের জোগায় অনুপ্রেরণা।
ফাতেমা যখন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তখন তার পরিবার তাঁকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বাবা-মাকে নিজের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন ও বাল্যবিয়ের কুফল সম্র্পকে বুঝানোর পর তারা বুঝতে পারে এবং বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পরির্বতন করে। সেখান থেকেই শুরু হয় তার বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে লড়াই। মহিদেব যুব সমাজ কল্যাণ সমিতির সিএনবি প্রকল্পে যুক্ত হয়। চাইল্ড নট ব্রাইড প্রজেক্ট থেকে চার দিনের প্রশিক্ষন করে এবং ইয়ুদ চ্যাম্পিয়ন হয়। একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিরলস ভাবে কাজ করছেন এই কিশোরী। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া এবং বাল্যবিয়ের ঝুকিতে থাকা মেয়েদেরকে বাল্যবিয়ের কু-ফল ও ক্ষতিকর দিক সম্র্পকে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে চলেছে।
বাল্যবিয়ে সম্র্পকে গ্রামের অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ২০টিরও বেশি উঠান বৈঠক আয়োজন করেছেন ফাতেমা। তিলাই ইউনিয়ন যুব কল্যাণ সংস্থার সহ সভাপতি ফাতেমা তিলাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে এবং ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহন করেছে।
ফাতেমা বলেন, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে সম্র্পকে গ্রামের অভিবাবক ও মেয়েদের সচেতনতা বৃদ্ধি করে অনেক মেয়ের বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করি। আমার জীবনের স্বপ্ন আমি কলেজের শিক্ষিকা হবো। আমি আমার স্বপ্ন পূরণের জন্য পড়াশোনা করে যাচ্ছি।